সুস্থ হয়ে ল্যাবএইড ছাড়লেন নাট্যকার ও নির্মাতা বিপুল রায়হান
ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের তৃতীয় তলার করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) সামনে দেখা নাট্যকার ও নির্মাতা বিপুল রায়হানের মেয়ে ভাষা রায়হানের সাথে। দেখা হতেই বললেন, “বাবাকে নিয়ে আজ বাড়ি যাচ্ছি” কথাটা বলার সাথে সাথেই এক টুকরো হাসির ঝিলিক বের হয়ে আসল ভাষা রায়হানের মুখ থেকে। খুশিতো হওয়াই স্বাভাবিক। কেননা প্রায় ১০ দিনের চিকিৎসা শেষে আজ (সোমবার) নিজ বাসায় ফিরবেন নাট্যকার ও নির্মাতা বিপুল রায়হান। যিনি বন্ধন, পাললিক মন, পুতুলবাজি, বৃষ্টির চোখে জলসহ প্রায় ৫০টির মত নাটক ও টেলিছবির নির্মাতা। এছাড়াও তিনি দেয়াল ও জাগে আমার প্রাণ নামের দুইটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রশংসিত হন সকল মহলে।
গত ৭মার্চ শনিবার রাতে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যান বিপুল রায়হান। সেসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তার কার্ডিয়াক অ্যারেষ্ট হলে তাকে দ্রুত আনা হয় ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে। সেসময় তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিওলজি কন্সালটেন্ট ডা: আ প ম সোহরাবুজ্জামানের অধীনে ভর্তি হন। কিন্তু আবার বিপুল রায়হানের দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেষ্ট হলে তার পরিবারের সদস্যদের সম্মতিক্রমে তাকে জরুরি ভিত্তিতে ডা: আ প ম সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে হৃদযন্ত্রে প্রাইমারি এনজিওপ্লাষ্টি করা হয়।
পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয় ল্যাবএইডের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। তিনি যখন ল্যাবএইড হাসপাতালে আসেন তখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। তার ফুসফুসে ইনফেকশন ও লিভারেও সমস্যা ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়ার ফলে তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।
তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ল্যাবএইডের সিনিয়র কার্ডিওলজি কন্সালটেন্ট ডা: আ প ম সোহরাবুজ্জামান বলেন, “ বিপুল রায়হান খুব সংকটাপন্ন অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। তবে তার হৃদযন্ত্রে আরো একটি ব্লক রয়েছে। যা পরে চিকিৎসার মাধ্যমে অপসারন করাতে হবে। আজ (১৬ মার্চ) আমরা বিপুল রায়হানের পরিবারেরর সদস্যদের সাথে কথা বলে তার বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় যাবার অনুমতি দিয়েছি।”
বিপুল রায়হানের শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে দেখা যায় স্বস্তরি নিঃশ্বাস। তাই ল্যাবএইড হাসপাতালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভুলেননি তারা। বিপুল রায়হানের মেয়ে ভাষা রায়হান তাই তার বিদায় বেলায় বলেন, “ল্যাবএইড আমার বাবার অনেক ভালো চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। আমি ডা: সোহরাবুজ্জামান স্যার ও ডা : রাসেদুজ্জামান স্যারের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ ওনার দুইজন আমার বাবার জীবনটা বাঁচিয়েছেন। সেই সাথে আমি ল্যাবএইড পরিবার ও তার সকল ডাক্তারদের প্রতি আমার সব সময়ের জন্য শুভ কামনা থাকলো। তারা উত্তর উত্তর আরো ভালো করবেন এই প্রত্যাশাই রাখি।”
দেশের কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কথাসাহিত্যিক জহির রায়হান এবং খ্যাতিমান অভিনেত্রী সুমিতা দেবীর জেষ্ঠ্য পুত্র বিপুল রায়হান আবারও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তার বর্নাট্য কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন এই প্রত্যাশই করছেন সংস্কৃতি অঙ্গনসহ দেশের সকল মানুষ।
Date of Published : 3/17/2015 6:18:16 PM. .
Back