সোনিয়াকে আর এক পায়ে হাঁটতে হবে না
ছোট বেলায় পা হারিয়ে এক পায়ে হাঁটতে হত রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কিশোরী সোনিয়া খাতুনকে (১২)।আজকের পর থেকে তাকে আর এক পায়ে হাঁটতে হবে না।
পুঠিয়ার ধোপাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এই ছাত্রীর কাঁটা পা প্রতিস্থাপন (কৃত্রিম পা দিয়ে) করেছে ল্যাবএইড । শুধু তাই নয়, সোনিয়ার সারা জীবনের শিক্ষার ব্যয়ভার ও বহন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
মাত্র ২ বছর বয়সে ট্রেনে কাঁটা পড়ে পা হারায় সোনিয়া।সেই থেকে এক পা নিয়েই চলছিল তার জীবন সংগ্রাম। সোনিয়ার বাবা মজিবুর রহমান মানসিক প্রতিবন্ধী। মা রহিমা বেগম অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান।অভাবের সংসারে তাই সোনিয়ার পরিবারের পক্ষে তার কাঁটা পায়ের স্থানে নতুন পা প্রতিস্থাপনের কোন পথই তারা খুঁজে পাচ্ছিল না।
গত ৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে একটি জাতীয় পত্রিকায় “এক পায়ে প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার” শিরোনামে সোনিয়াকে নিয়ে একটি সংবাদ ছাপা হলে বিষয়টি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এই সংবাদের ভিত্তিতে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ সোনিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর দুই দফা সোনিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় এনে তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকার একটি বেসরকারী ক্লিনিকে সোনিয়ার কৃত্রিম পা সংযোজোনের ব্যবস্থা করা হয়।যার সকল খরচ ল্যাবএইড বহন করে।শুধু তাই নয় গত এপ্রিল মাস থেকে সোনিয়ার সকল প্রকার পেড়াশোনার খরচ বহন করে আসছে ল্যাবএইড।
আজ বৃহস্পতিবার সোনিয়া খাতুনের কৃত্রিম পা সংযোজোনের সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সে এখন থেকে সবার মতই দুই পায়ে হাঁটতে পারবে।বাড়ি ফিরে যাবার আগে সোনিয়া তার পরিবারের সদস্য ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে নিয়ে দেখা করতে আসে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষের সাথে।
সোনিয়ার জীবনের এই নতুন পথ চলায় তাকে শুভেচ্ছা জানান ল্যাবএইড গ্রুপের এডভাইজার এডমিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ড:) মঞ্জুর এ মোল্লা (অব:) ও ল্যাবএইড গ্রুপের এ জি এম,কর্পোরেট কমিউনিকেশন, সাইফুর রহমান লেনিন।
ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষের এই সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে ল্যাবএইড গ্রুপের সাইফুর রহমান লেনিন বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কাজের ক্ষেত্রে ল্যাবএইড সব সময় চেষ্টা করে তাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে কিছু সহযোগিতা করতে । সোনিয়া খাতুনের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও ল্যাবএইড তার সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং করবে।
উল্লেখ্য, ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ এরকম সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে প্রখ্যাত সাংবাদিক নির্মল সেনের (মৃত) যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহন করেছে, পাবনার কবি ওমর আলীর নিয়মিত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও খরচ বহন করে আসছে এবং সেই সাথে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শেফালি আক্তারের মেডিকেল কলেজের পড়ার সকল শিক্ষাব্যয় বহন করছে।
Date of Published : 9/28/2014 5:08:34 PM. .
Back