পাশে আছি আমরা
মোঃ ফেরদৌস রহমান, ৩৫ বছর। কর্মরত আছেন ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালস-এর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে। গত ৩রা নভেম্বর ২০১৩, প্রতিদিনের মত বের হয়েছিলেন পেশাগত কাজে। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় পতিত হন। তার মোটর সাইকেলের সাথে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং তারপরই একটি নছিমন তাকে চাপা দেয়। আশেপাশের লোকজন তাকে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দূর্ঘটনার পর থেকে ফেরদৌস ক্রমাগত আবোল তাবোল কথা বলছিলেন, তার হাত-পায়ে কোন ধরনের শক্তি ছিল না। তিনি কাউকে চিনতেও পারছিলেন না। রাজশাহী মেডিকেলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা যায় যে, তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
কিন্তু তার লক্ষণগুলোর কোন উন্নতি না হওয়াতে ল্যাবএইড উদ্যোগী হয়ে তাকে ০৪.১১.২০১৩ইং তারিখে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং ল্যাবএইড হাসপাতালের ঐউট তে ভর্তি করানো হয়। তখনো তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল।
এরপর তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তার মস্তিস্কে আঘাতজনিত কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এবং ঈবৎারপধষ ঝঢ়রহব এর গজও পরীক্ষায় দেখা যায় যে, ঝঢ়রহধষ ঈড়ৎফ রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ফুলে গেছে এবং তা মস্তিস্কের সংকেত আদান প্রদানের কাজ ঠিকমত করতে পারছে না।
ইৎধরহ ্ ঝঢ়রহধষ ঈড়ৎফ এ আঘাতজনিত রক্তক্ষরণের চিকিৎসা, অপারেশন করে এবং শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে দু’ভাবেই করা যায়। ল্যাবএইডের অভিজ্ঞ ও দক্ষ চিকিৎসকগণ রোগীকে অপারেশনের বাড়তি ঝামেলা থেকে বাঁচাতে শুধু ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে রোগীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করতে লাগলেন।
ইৎধরহ ্ ঝঢ়রহধষ ঈড়ৎফ এ আঘাতজনিত রক্তক্ষরণে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত থাকেন, হাতে-পায়ে ঠিকমত শক্তি পান না, অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেলা করতে পারেন না। কিন্তু ফেরদৌস ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসকগণের দক্ষতায় খুব দ্রুততার সাথে তার আশঙ্কাজনক অবস্থা কাটিয়ে উঠতে শুরু করে।
তার দুপায়ের শক্তি ধীরে ধীর ফিরে আসতে শুরু করে। তার ডান হাতও স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কিন্তু বাম হাতের অবস্থা আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় ঘবৎাব ঈড়হফঁপঃরড়হ ঝঃঁফু পরীক্ষায় দেখা যায় যে তার নৎধপযরধষ ঢ়ষবীঁং হবঁৎড়ঢ়ধঃযু হয়েছে এবং যা তার বাম হাতকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এরপর ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসকগণ সিদ্ধান্ত নেন যে, রোগীর দীর্ঘদিন ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন এবং এ জন্য তাকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুণর্বাসন কেন্দ্রে (ঈজচ) পাঠিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় একমাস ফিজিওথেরাপি নেয়ার পর ফেরদৌস এখন অনেকটাই সুস্থ অথচ তার হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করার কথা ছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং ল্যাবএইড হাসপাতালের সেবায় তিনি এখন নিজের পায়ে হাঁটছেন।
ডান হাতও স্বাভাবিক। বাম হাতটি পুরোপুরি সারতে তার একটি অপারেশন করতে হবে। ফেরদৌস সেই অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা আশা কারছি এই অপারেশনটির পরই ফেরদৌস আবার তার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারবেন।
Date of Published : 3/3/2014 2:03:20 PM. .
Back